মুভির নাম "Who Am I – No system is safe"
রিলিজ - ২০১৪ সালে
ডিউরেশন - ১ ঘন্টা ৪১ মিনিট
কান্ট্রি - জার্মানী
ভাষা - জার্মান
রিলিজ - ২০১৪ সালে
ডিউরেশন - ১ ঘন্টা ৪১ মিনিট
কান্ট্রি - জার্মানী
ভাষা - জার্মান
আপনি যদি হেকিং আর রহস্যময় ড্রামা টাইপের মুভি দেখতে লাইক করেন তাহলে এই মুভি আপনার জন্য মাস্ট ওয়াচ মুভি। মুভির প্লট একদম রিলেটেবল যেমিন্টা এখনকার হেকারদের দ্বারা হয়ে থাকে। মানে মুভির হেকার অনেক ফেমাস হতে চায়, এটেনশন পেতে চায় প্রিয় মানুষের আর সে সুপার ম্যান হতে চায় যার একটা বিশেষ পাওয়ার থাকবে। আর নায়কের ক্ষেত্রে সেটা পাওয়ার হলো হেকিং। তাই সেই তার হেকিং করার দক্ষতা তাকে কাজে লাগিয়ে নানা অসাধ্য কাজ করে এটেনশন সিক করে। এতটুকু জেনে অনেকেই হয়ত গেস করে ফেলেছেন মুভিটা এমন এমন হবে বাট ট্রাস্ট মি এই মুভির প্লট একেবারে সহজসরল হলেও এতে অনেক টুইস্ট আছে। মুভি দেখার সময় আপনার হয়ত মনে হতে পারব যে, এখানেই মুভি শেষ বাট নাহ!!! এক্টার পর একটা রহস্য বের হতে থাকবে। শেষ না হয়া পর্যন্ত যেন মনে হবে এর পরেও কিছু কাহিনী মেবি আছে।
মুভির কাহিনীঃ
প্রথমেই বলে নেই মূল ক্যারেকটারদের মধ্যে মুভিতে মূল হেকার এবং হেকার গ্রুপ হলো বেঞ্জামিন, FRI3NDS(রাশিয়ান সাইবার মাফিয়া) ও MRX(বিখ্যাত হ্যাকার)। বেঞ্জামিনের ৩জন সহযোগী Max, Paul আর Stefen. নায়িকা মারিয়া, বেঞ্জামিনের অসুস্থ নানী আর ইনভেস্টিগেটর হ্যানে লিন্ডবার্গ।
মুভির শুরুতে দেখা যায় মুভির নায়ক বেঞ্জামিন কিছু একটা ভুল করেছে তাই তার সহযোগীদের FRI3NDS গ্রুপ মেরে ফেলেছে। সে এখন "Most Wanted Hacker In The World" আর তাকে পুলিশ ধরেও ফেলেছে, এখন ইনভেস্টিগেশন করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মাডারের চার্জ পরেছে (Krypton-কে খুন করার) যেটা আসলে সে করেনি। বেঞ্জামিন বলতে থাকে এই খুনের পিছে কে দায়ী এবং তার সাইবার জগতে জড়িয়ে পড়ার কাহিনী।
বেঞ্জামিন (নায়ক) ছোটবেলায় তার বাবা মাকে হারায়। বাবা চলে যায় তাকে ছেড়ে আর মা নিজেই ফাঁসি দিয়ে মরে যায় যখন তার বয়স ৮ বছর। সো সে অনেক একা, ডিপ্রেসড হয়ে থাকে। তখন থেকেই তার ইচ্ছা থাকে সুপারহিরো হওয়ার। সে বেশিরভাগ সময় পার করতে থাকে কম্পিউটারের সামনে। প্রোগ্রামিং শিখতে থাকে ও ১৪ বছর বয়সেই সে প্রথম এক সিস্টেম হ্যাক করে ফেলে। ইন্টারনেট থেকেই সে জানতে পারে MRX অনেক বড় মাপের হ্যাকার । বেঞ্জামিন, MRX এর মত হওয়ার চেস্টা করতে থাকে।
পড়াশুনা ছেড়ে পিজ্জা ডেলিভারির কাজ করে সে। একদিন এক ডেলিভারির সময় তার স্কুল জীবনে ভালোবাসা মেরিকে দেখতে পায় এবং শুনে যে তার পড়াশুনা ভালো হয়নি তাই পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। বেঞ্জামিন মেরিকে খুশি করার জন্য ভার্সিটির সিস্টেম হ্যাক করে প্রশ্ন চুরি করে। কিন্তু পরে ধরা খেয়ে যায়। শাস্তি হিসেবে তাকে একদিন শহরের রাস্তা পরিষ্কার করতে দেয়া ।
সেখানে তার পরিচয় হয় 'ম্যাক্স' এর সাথে। সেও ওর মতোই হ্যাকার। 'ম্যাক্স' তাকে 'স্টিফেন'(একজন সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ) আর 'পল'(একজন হার্ডওয়্যার বিশেষজ্ঞ) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা চারজন মিলে একটা হ্যাকিং গ্রুপ 'CLAY' গঠন করে এবং হ্যাকিং জগতের বস 'MRX' নজরে আসার চেষ্টা করে। এদিকে আরেক হ্যাকিং গ্রুপ "FRI3NDS" এর পিছু করতে গিয়ে 'Europol এর Cyber Division' আরেক হ্যাকার 'CLAY' এর কথা জানতে পারে। শুরু হয় এক সাইবার যুদ্ধ।
পড়াশুনা ছেড়ে পিজ্জা ডেলিভারির কাজ করে সে। একদিন এক ডেলিভারির সময় তার স্কুল জীবনে ভালোবাসা মেরিকে দেখতে পায় এবং শুনে যে তার পড়াশুনা ভালো হয়নি তাই পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। বেঞ্জামিন মেরিকে খুশি করার জন্য ভার্সিটির সিস্টেম হ্যাক করে প্রশ্ন চুরি করে। কিন্তু পরে ধরা খেয়ে যায়। শাস্তি হিসেবে তাকে একদিন শহরের রাস্তা পরিষ্কার করতে দেয়া ।
সেখানে তার পরিচয় হয় 'ম্যাক্স' এর সাথে। সেও ওর মতোই হ্যাকার। 'ম্যাক্স' তাকে 'স্টিফেন'(একজন সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ) আর 'পল'(একজন হার্ডওয়্যার বিশেষজ্ঞ) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা চারজন মিলে একটা হ্যাকিং গ্রুপ 'CLAY' গঠন করে এবং হ্যাকিং জগতের বস 'MRX' নজরে আসার চেষ্টা করে। এদিকে আরেক হ্যাকিং গ্রুপ "FRI3NDS" এর পিছু করতে গিয়ে 'Europol এর Cyber Division' আরেক হ্যাকার 'CLAY' এর কথা জানতে পারে। শুরু হয় এক সাইবার যুদ্ধ।
প্রথম দিকে Clay গ্রুপ ছোটখাটো হেকিং করে বাট MRX তাদের কোনো পাত্তা দেয় নাহ। তাই তার এটেনশন পেতে বড় ধরনের কিছু হেক করবে বলে ঠিক করে Clay. সমস্যাটা শুরু হলো সেদিন থেকে, যেদিন তারা(CLAY) হ্যাকিং জগতের কিংবদন্তী হ্যাকার 'MRX' এর চোখে পড়ার জন্য German Secret Service এর সার্ভার হ্যাক করার সিদ্ধান্ত নিল। কারণ আজ পর্যন্ত কেউ German Secret Service এর সার্ভার হ্যাক করতে পারেনি । এবং "CLAY" মানে (বেঞ্জামিন বার্লিনর) সেটাও করে ফেলল। আর সেই হেক করা ডাটা MRX কে সেন্ড করে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার পরেই খুন হলো একজন অন্য এক গ্রুপের হ্যাকার KrypTon, যে কিনা ছিল German Secret Service এর একজন আন্ডারকভার এজেন্ট। কয Clay এর পাঠানো ডাটা থেকে MRX সেই আন্ডারকভার এজেন্টের খোজ পায়। সবাই মনে করলো "CLAY"এই খুন করেছে হ্যাকার KrypTon কে কয তারাই সেই ডাটা চুরি করেছিল। এই ঘটনার ফলে Clay বুঝে গেলে MRX হলো ফ্রেন্ডসের সদস্য আর এটা তারই গ্রুপ। তাই ফ্রেন্ডস থেকে সে নিজেই KrypTon কে মেরে ফেলেছে।
কঠিন বিপদে পড়ল এবার 'CLAY'। পিছে লাগল সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু শুধু 'CLAY' জানতো KrypTon কে 'MRX'ই খুন করেছে। বাঁচার উপায় একটাই। উন্মোচন করতে হবে, 'MRX'-এর আসল পরিচয়। শুরু হয় 'MRX' এর সাথে যোগাযোগ কিন্তু 'MRX'-কে খুজে পাওয়া এতো সহজ নয়। 'MRX' এর পরিচয় খুজতে গিয়ে 'বেঞ্জামিন' নিজেই ধরা পরে যায় 'MRX' এর কাছে। সে Clay-কে পুলিশের কাছে ধরায় দেয়।
Europol এর Cyber Division এর প্রধান 'হ্যানে লিন্ডবার্গ' যে কিনা বরখাস্ত হয়েছেন বিক্ষাত হ্যাকার MRX,FRI3NDS-দের ধরতে না পারা, আর Clay-কে সিক্রেট ডাটার চুরি আটকাতে না পারার কারণে। বেঞ্জামিনকে অনেক কষ্টে ধরার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হ্যাকিং নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বেঞ্জামিন Cyber Division এর প্রধান 'হ্যানে লিন্ডবার্গকে' বলে সে FRI3NDS(রাশিয়ান সাইবার মাফিয়া) ও MRX(বিখ্যাত হ্যাকার) যাকে কেউ চিনে না এবং সে পৃথিবীর যেকোন সিস্টেম হ্যাক করতে পারে, তার খোজ দিতে পারবে বিনিময়ে তাকে একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে ছেড়ে দিতে হবে। 'হ্যানে লিন্ডবার্গ' এর আর কোন উপায় ছিল না তার কথা না শুনা ছাড়া কারণ FRI3NDS,MRX এমন হ্যাকার যাদের কেউ কোনদিন ধরতে পারেনি। তাই এই এগ্রিমেন্টে সে রাজী হয়।
অনেক ফন্দি করার পর 'MRX' এর পরিচয় উন্মুক্ত করে 'বেঞ্জামিন' মানে 'CLAY'। MRX কে কনফিউজড করে রাগিয়ে অনেক কৌশলে বেঞ্জামিন তাকে ধরতে FBI কে সাহ্যায্য করে। ফাইনালি MRX কে FBI নিউইয়র্কের এক রেস্টুরেন্ট থেকে ধরে ফেলে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বেঞ্জামিন জানায় FRI3ENDS এর অন্য সদস্যরা তাকে পেলে মেরে ফেলবে KrypTon এর মত তাই তার ফ্রি ভাবে চলাচল করার এগ্রিমেন্টটা এখনি লাগবে।
তাই হ্যানে লিন্ডবার্গ তার দেয়া তথ্য সত্য কিনা যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারে, মারিয়ার সাথে বেঞ্জামিনের অনেকদিন যাবত দেখাই হয় নাই। হ্যানে লিন্ডবার্গ চমকে গিয়ে বেঞ্জামিনের অসুস্থ নানীকে দেখতে যায় আর সেখান থেকে তার ডাক্তার জানায় বেঞ্জামিনের মার একটা সমস্যা ছিল যে সে নিজে নিজেই অনেক কিছু ভেবে নেয় যেগুলা বাস্তব অস্তিত্ব নেই। রোগের Multiple Personality Disorder. হ্যানে ডাক্তারের থেকে জানতে চায় সেই অসুখ বেঞ্জামিমের আছে কিনা? ডাক্তার জানায় থাকতে পারে আবার এরকম অবস্থা নানা রকমের ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকেও হতে পারে যেগুলা বেঞ্জামিন নিয়মিত নিত রাত জেগে হেকিং করার জন্য। সো হ্যানে বুঝতে পারে বেঞ্জামিন যা বলছে তা সব তার কল্পনা! বেঞ্জামিনের ৩জন সহযোগী Max, Paul আর Stefan এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এগুলা তার সব কাল্পনিক চরিত্র আর এতক্ষন যে সব হেকিং, ডাটা চুরি করার কথা বলেছে তা সব বেঞ্জামিন একাই করেছে।
কিন্তু বেঞ্জামিন এটা মানতে নারাজ। সে জানায় সে তার মার মত Multiple Personality Disorder এ আক্রান্ত নয়। হ্যানের কোনো বাচ্চা ছিল নাহ তাই তার মায়া লাগে আর সে চিন্তা করে তার উদ্দেশ্য ছিল FRI3NDS আর MRX কে ধরা। মাঝখানে Clay (বেঞ্জামিনের কাল্পনিক হেকার গ্রুপ) এসে পরে। কিন্তু বেঞ্জামিন তো অসুস্থ। সে FRI3NDS এর সদস্য নয় তাই তাকে একজন স্বাধীন নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
তাই হ্যানে লিন্ডবার্গ তার দেয়া তথ্য সত্য কিনা যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারে, মারিয়ার সাথে বেঞ্জামিনের অনেকদিন যাবত দেখাই হয় নাই। হ্যানে লিন্ডবার্গ চমকে গিয়ে বেঞ্জামিনের অসুস্থ নানীকে দেখতে যায় আর সেখান থেকে তার ডাক্তার জানায় বেঞ্জামিনের মার একটা সমস্যা ছিল যে সে নিজে নিজেই অনেক কিছু ভেবে নেয় যেগুলা বাস্তব অস্তিত্ব নেই। রোগের Multiple Personality Disorder. হ্যানে ডাক্তারের থেকে জানতে চায় সেই অসুখ বেঞ্জামিমের আছে কিনা? ডাক্তার জানায় থাকতে পারে আবার এরকম অবস্থা নানা রকমের ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকেও হতে পারে যেগুলা বেঞ্জামিন নিয়মিত নিত রাত জেগে হেকিং করার জন্য। সো হ্যানে বুঝতে পারে বেঞ্জামিন যা বলছে তা সব তার কল্পনা! বেঞ্জামিনের ৩জন সহযোগী Max, Paul আর Stefan এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এগুলা তার সব কাল্পনিক চরিত্র আর এতক্ষন যে সব হেকিং, ডাটা চুরি করার কথা বলেছে তা সব বেঞ্জামিন একাই করেছে।
কিন্তু বেঞ্জামিন এটা মানতে নারাজ। সে জানায় সে তার মার মত Multiple Personality Disorder এ আক্রান্ত নয়। হ্যানের কোনো বাচ্চা ছিল নাহ তাই তার মায়া লাগে আর সে চিন্তা করে তার উদ্দেশ্য ছিল FRI3NDS আর MRX কে ধরা। মাঝখানে Clay (বেঞ্জামিনের কাল্পনিক হেকার গ্রুপ) এসে পরে। কিন্তু বেঞ্জামিন তো অসুস্থ। সে FRI3NDS এর সদস্য নয় তাই তাকে একজন স্বাধীন নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
মুভি এখানেই শেষ হতে পারত বাট এখানে আরো নতুন কাহিনী বের হয়। দেখা যায় Clay গ্রুপ কাল্পনিক নয়। এটা আসল গ্রুপ আর তারা ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট আর হ্যানে লিন্ডবার্গকে বোকা বাইছে। আসলে MRX এর কাছে ধরার খাবার পর বেঞ্জামিন হোটেলে এসে Max, Paul আর Stefan কে সব জানায় যে তারা ধরা পরে গেছে। সে তাদেরকে পলাতে বললে Max, Paul আর Stefan জানায় তারা তাকে একা ফেলে যাবে নাহ। তাই তারা একটা প্লান বানায়। যেটার মাধ্যমেই তারা হ্যানে লিন্ডবার্গকে বোকা বানাতে পেরেছে বেঞ্জামিনের Multiple Personality Disorder রোগ আছে এটার মাধ্যমে। সো তারা এখন ফ্রি তাই নতুন কোথায় তারা পারি জমিয়েছে। এভাবেই মুভিটি শেষ হয়।
অকে আপনি মুভিটি দেখবেন কি দেখবেন নাহ তা ৩ভাবে জাজড করি। Not Bad, Good, Must. এই মুভিতে আমার মতামত হলো - Must. 😍













Comments
Post a Comment