Oldboy (2003) বেস্ট কোরিয়ান থ্রিলার মুভি বাংলা রিভিউ



Oldboy (2003)
ক্যাটাগরিঃ অ্যাকশন, ড্রামা, মিস্ট্রি
ডিউরেশনঃ ১২০ মিনিট
দেশঃ দক্ষিণ কোরিয়া
ভাষাঃ কোরিয়ান
রেস্ট্রিকশনঃ 18+ ❎ 

কিডনাপ হয়ে ১৫ বছর একটা ঘরের মধ্যে আটকে থাকার পর Oh Dae-Su এখন মুক্ত। তার হাতে ৫দিন সময় আছে এতবছর এভাবে কারা বদ্ধ হয়ে থাকার কারণ বের করার জন্য! ২০১৩ সালে একি নামে হলিউডে এই মুভির রিমেক করা হয়।

মুল কাহিনীঃ

আগেই বলে নেই এটি অনেক হিংস্রমনাক্তক, আর অনেক নেস্টি একটা মুভি। আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হলে আপনাকে এই মুভি না দেখার জন্য রিকুয়েস্ট করব। মুভিত অনেক এডাল্ট সিন আছে। সো প্রাপ্তবয়স্ক না হলে মুভি স্কিপ করুন। আর যারা সেনসেটিভ মাইন্ডের অধিকারী তাদেরও মুভিটি  না দেখাই ভাল।

১৯৮৮ সালে Oh Dae-Su (নায়ক)-কে এক টেলিফোন বুথ থেকে তার ফেমিলির সাথে কথা বলা অবস্থায় (তার মেয়ের ৪র্থ জন্মদিন ছিল সেদিন) কিডনাপ করা হয়। তাকে কি কারণে অপহরণ করা হইছে তা সে জানে নাহ। এভাবেই তাকে পনের বছর আটকে রাখা হয়। এই পনের বছর তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। কেন এবং কি কারণে তাকে আটকে রাখা হয় সে তার কিছুই জানতে পারে না। পনের বছর পর হঠাৎ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই পনের বছর নিজেকে সে কঠিন রুপে প্রস্তুত করে। এবং ছাড়া পড়ার পর মত্ত  হয়ে পড়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এবং অতি শিঘ্রই সে তার অপহরণকারীর দেখা পায়। কিন্তু অপহরণকারী Woo-jin (ভিলেন)-কে মারার সুযোগ পেয়েও সে মারতে পারল না। কারণ, যদি সে তাকে মেরে ফেলে তাহলে কখনই তাকে আটকে রাখার কারণ জানতে পারবে না। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার আগে সে তাকে আটকে রাখার কারণ খুঁজে বের করার জন্য উদ্যত হয়। 



মাঝে তার সাথে এক মেয়ের পরিচয় যে তাকে সাহায্য করে, তাদের মধ্যে ফিজিক্যাল রিলেশন হয়। অনেক তথ্য এক করার পর Oh  Dae-Su(নায়ক)-এর মনে পরে Woo-jin আর Oh Dae-Su একি স্কুলে পড়ত।  Woo-jin তার আপন বোনকে ভালবাসত আর Oh Dae-Su একদিন Woo-jin আর তার বোনকে একসাথে দেখে ফেলে। পরে সে তা পুরো স্কুল গ্রামে ছড়িয়ে বেড়ায়। এতে Woo-jin-এর বোন লজ্জায় ব্রিজ থেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যা করে। এবার  Oh Dea-Su তার প্রতিশোধ নিতে Woo-jin-কে মারতে গিয়ে জানতে পারে Oh Dea-Su (নায়ক)-কে এতদিন যেই মেয়ে তাকে সাহায্য করেছে, যার সাথে সে ফিজিক্যাল রিলেশন করেছে সে আসলে Oh  Dea-Su-র নিজের মেয়ে। আর এবার Woo-jin তার নিজের বোন যতটায় লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ঠিক সেটাই তার মেয়েকে ফিল করাতে তাদের এই সম্পর্কের কথা তার মেয়েকে বলে দিবে। কিন্তু  Oh Dea-su সেটা হতে দিতে চায় নাহ। Woo-jin কে মেরে ফেলতে গেলে সে জানায় তার লোক বাইরে আছে। তার কিছু হলেই তার মেয়ের এই সব জেনে যাবে। এবার  Oh Dea-Su মাফ চাইতে থাকে। সে আর জীবনেও কারোর সাথে কথা বলবে নাহ। Woo-jin এতেও না রাজী হলে  Oh Dea-Su নিজেই নিজের জিহবা কেটে ফেলে এটা বুঝাতে যে সে আর কখনো কথা বলতে পারবে নাহ। পরে  Woo-jin তাকে ক্ষমা করে। আর তার মেয়ে সেই সত্য জানতে পারে নাহ। 




এই মুভিটিকে সেরা রিভেঞ্জ মুভি গুলির একটি বলা যায়! প্রতিশোধ যে কতটা কঠিন হতে পারে এই মুভিটা না দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন না। এই মুভিতে স্পেশাল মেসেজ হলো আমাদের কখনোই অন্যের প্রাইভেসি নিয়ে মজা করা উচিত নয়। আমাদের কাছে যেটা সামান্য মজার ব্যাপার তা অন্যের কাছে অনেক কষ্টের হতে পারে। তাই সবার প্রাইভেসিকে সম্মান করা উচিত। 

অকে আপনি মুভিটি দেখবেন কি দেখবেন নাহ তা ৩ভাবে জাজড করি। Not Bad, Good, Must. এই মুভিতে আমার মতামত হলো - Must. এরকম মুভি এখন আর পাওয়াই যায় নাহ।

Comments

  1. আমি এই মুভি টা বাংলা সাবটাইটেলে দেখে প্রথমে মুভির কাহিনী সামান্য আঁচ করতে পারলেও পুরো কাহিনীটা কোনোমতেই বুঝতে পারছিলাম না,এত সুন্দর ভাবে মুভির কাহিনী উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete

Post a Comment