Confession of Murder (2012) কোরিয়ান থ্রিলার মুভি বাংলা রিভিউ



Confession of Murder (2012)
ক্যাটাগরিঃ অ্যাকশান, থ্রিলার
ডিউরেশনঃ ১১৯ মিনিট
ভাষাঃ কোরিয়ান

কেস সমাধান করার লিমিটেশন টাইম শেষ হলে Lee Du-seok নিজের অপরাধ স্বীকার করে তার আত্মজীবনী বের করে। একজন ডিটেকটিভ আর ভিক্টিমের মা সেই বইয়ের লেখককে খুজছে আর অন্যদিকে আরেকজন ব্যক্তি নিজেকে আসল খুনি দাবি করছে।

মূল কাহিনীঃ

Choi Hyeong-goo একজন ডিটেকটিভ যাকে একজন সিরিয়াল কিলারকে ধরার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু সে তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে। সে তার আসল চেহারা দেখেনি কখন। তার ইনভেস্টিগেশন সময়ে  ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেই কিলার ১০জন মহিলাকে মারে আর একজন মহিলাকে কিডনাপ করে কি করেছে তা কিছু খোঁজ খবর পাওয়া যায় নাহ। অপরাধীর খুব কাছে গিয়েও ডিটেকটিভ তাকে ধরেতে পারেনি। 


২০০৫ সালে সেই কেসের লিমিটেশন টাইম শেষ হলে ২০০৭ সালে Lee Du-seok নামে একজন নিজের অপরাধ স্বীকার করে তার আত্মজীবনী বের করে। কিন্তু ডিটেকটিভ Choi Hyeong-goo তা মানতে নারাজ। কয তার সাথে  ঘটা অনেক কিছুই এই বইতে নেই যা শুধু Lee Du-seok-ই জানত। সব কিছু মিলছে নাহ। তার মতে Lee Du-seok শুধু অই সিরিয়াল কিলারের নাম বেঁচে ফেমাস হতে চায়। কিন্তু তার বইয়ে সবগুলা খুনের বর্ণনা অনেক ডিটেইলস সহ দেয়া আছে তাই সবাই তাকে বিলিভ করে। ভিক্টিমদের অনেকেই এই লেখকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগে তাদের প্রিয়জন হত্যার প্রতিশোধ নিতে। 



কিছুদিন পরে এই লেখকের এই লাইভ শোতে একজন লোক ফোন করে জানায় সে আসল কিলার আর এই লেখক তার নাম বেঁচে ফেমাস হচ্ছে আর টাকা কামাচ্ছে। শুরু হয় কনফিউশন। এক সময় কে আসল তা প্রমাণ করা জন্য বইয়ের লেখক Lee Du-seok, ডিটেকটিভ Choi Hyeong-goo আর অই আসল খুনি বলে জাহির করা লোক J কে এক লাইভ শোতে আনা হয়। সেই লোক তার সকল খুনের প্রমাণ দেখায়। এখন প্রশ্ন হলো Lee Du-seok আসল কিলার না হলে সে এত তথ্যসহ ডিটেইলস এই বই লিখল কিভাবে। এবার বের হয় এই বই Lee Du-seok লিখে নাই। এই বই লিখেছে ডিটেকটিভ নিজেই। আর Lee-কে দিয়ে এটা প্রকাশিত করে ফাঁদ পেতেছিল। এর এই ফাঁদে আসল কিলার ফেঁসেও গেছে। 


আসল কিলার জানায় কিন্তু এতে আর এখন লাভ কি??? কেস সলভ করার সময় তো পার হয়ে গেছে আর সে এখন মুক্ত। বাট ডিটেকটিভ জানায় কিলারের ১১ নাম্বার খুন যেটার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি, আজ সে প্রমাণ দেয়াতে তার কোনো তথ্য পাওয়া গেল সেটা হয়েছিল ১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে। আর আজ হলো ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭, এখন সময় রাত ১১ঃ৪৬ মানে এখনও এই কেসের লিমিটেশন শেষ হতে ১৪ মিনিট বাকী আছে। ধরা খেয়ে পালাতে গিয়ে সেই কিলার ডিটেকটিভের হাতে মারা যায়। নিদিষ্ট সময়ের পরে তাকে মারার জন্য ডিটেকটিভকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে ২০১২ সালে ছাড়া পায়। এভাবেই মুভিটি শেষ হয়।



অকে আপনি মুভিটি দেখবেন কি দেখবেন নাহ তা ৩ভাবে জাজড করি। Not Bad, Good, Must. এই মুভিতে আমার মতামত হলো - Must. 😍

Comments